২৪ ঘণ্টায় ১৭ বার লোডশেডিং

বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বুধবার (১০ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ বার লোডশেডিং হয়েছে বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৩৩ কেভির আঞ্চলিক উপকেন্দ্রের এলাকায়। এই উপকেন্দ্রের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। উপকেন্দ্রটি পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় রয়েছে।


চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ ও অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবনকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা বলেন, রাতে ঘুমাতে গেলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরে আসে। ঘুম কিছুটা গভীর হওয়ার আগে আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর আধা ঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গত কয়েক দিন ধরে এমন চলছে। ঘুমাতে পারছে না কেউ। বাচ্চাদের পড়ালেখা করতে কষ্ট হচ্ছে।
আর দিনের বেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। শুধু তা-ই নয়, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে কল-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। হাট-বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। ঘনঘন লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রকৃতপক্ষে মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল সিকদার ও কৃষ্ণ কান্ত ঘরামীসহ অনেকেই বলেন, আজ (বুধবার) সকাল ৬টার দিকে বিদ্যুৎ গেছে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৭ বার বিদ্যুৎ চলে গেছে।
আবার রাতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এই ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।


বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক মো. জাকির হোসাইন বলেন, ‘ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে আমরা অতিষ্ঠ। বাড়িতে গরমে থাকা দায়। মাঝে মাঝে হঠাৎ স্বস্থির বৃষ্টি নামলেও বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর শুরু হয় ভ্যাপসা গরম। আবার এর মধ্যে থাকে না বিদ্যুৎ। সব মিলিয়ে আমাদের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।’
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বেতাগী উপকেন্দ্রের এজিএম (ওঅ্যান্ডএম) মো. মুন্তাসির বলেন, ‘হঠাৎ করে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে বেতাগী আঞ্চলিক উপকেন্দ্রে ৩৩ কেভির লাইনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরকম পূর্বে আর কখনো হয়নি। এ জন্য আমরা দুঃখিত। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক হয়ে যাবে।’
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে বেতাগী আঞ্চলিক উপকেন্দ্রের জুনিয়র প্রকৌশলী পাবেল বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে ঝড়ে বেতাগীতে ৩৩ কেভির লাইনের একটি ক্লাম পুড়ে যায়। এ ছাড়া ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে তার ছিড়ে যায়। এতে বেতাগীতে গ্রাহকদের বার বার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।’
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: