বরগুনায় চুরি, মাদক এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
অদ্য ০১ লা অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখ রোজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট তালতলী গ্রামে মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস বাহিনী কর্তৃক একই গ্রামের শহিদুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেওয়ার প্রতিবাদে,ন্যায় বিচার পাওয়ার ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন স্হরের নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী এবং সাংবাদিকবৃন্দ। মানববন্ধনে উপস্থিত একাধিক লোক বলেছেন জুলহাস একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার জন্য এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর জুলহাস, সেন্টু, রিমন, দেলোয়ার,রিপন এবং হাসিনা শহিদুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম পা কেটে দিয়েছে।
আহত শহিদুল বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। এলাকাবাসী দ্রুত এই মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে এলাকার একাধিক লোক বক্তব্য প্রদান করেছেন।মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা শহিদুল ইসলাম এর উপর নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পা পঙ্গু করে দেওয়ায় তীব্র নিন্দা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য কালে ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ইমদাদুল হক মিলন বলেন,জুলহাসের শ্বশুর টেকনাফের স্থায়ীয় বাসিন্দা। জুলহাসের বউ হাসিনা টেকনাফের মেয়ে।
হাসিনা টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বরগুনায় নিয়ে আসে জুলহাস এলাকায় সাপ্লাই দেয়। মাদক দিয়ে এই এলাকার যুব সমাজ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে জুলহাস। সে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে তার দলবল সেন্টু রিমন, দেলোয়ার রিপন ও হাসিনাকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শহিদুলের বাম পা কেটে দিয়েছে। শহিদুল বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। আমরা এলাকাবাসী জুলাহাস এবং তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: