• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

জীবননগর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম’র বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা অভিযোগ


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৪৭ পিএম
জীবননগর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম’র বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা অভিযোগ

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জীবননগর জোনাল অফিসের ভারপ্রাপ্ত এজিএম হাফিজুর ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা জীবননগর জোনাল অফিসে যোগদানের পর থেকেই গ্রাহকদের সাথে নানা ভাবে স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরন করে আসছেন অভিযোগে জানা যায়। তার স্বেচ্ছাচারিতায় ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় শত শত গ্রাহক। এদিকে উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের গ্রাহকেরা অতিষ্ঠ হয়ে এজিএম হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববদ্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
 
তাদের অভিযোগ, এজিএম মো: হাফিজুল ইসলাম  জীবননগর জোনাল অফিসে যোগদানের পর থেকে মনগড়া নতুন নিয়মে মিটারের জন্য আবেদন করতে হয়। তার মনমতো আবেদন না হলে বিভিন্ন অজুহাতে তা বাতিল করে দেন। নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির কাগজপত্র ও পর্চা থাকলেই মিটারের আবেদন করা যায় না। এজিএম বলেন, বাড়ির পর্চা নিজের নামে থাকতে হবে এবং অনলাইন পর্চা দিয়ে আবেদনের নিয়ম তৈরি করেন।

অন্যদিকে নতুন মিটার সংযোগ,ভুতুড়ে বিলের ব্যাপারে ভুক্তভোগী গ্রাহক তার নিকট কোন পরামর্শ নিতে গেলে তিনি তাদের সাথে খারাপ আচরন করেন। তার আচরনে মনে হয় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের ব্যাপারে তার কোন নৈতিক দায়িত্ব নেই। সব কিছুই তার খেয়াল-খুশিমতই চলে। গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংক্রান্তে কোন অভিযোগ তিনি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে কোন নিস্পত্তির ব্যবস্থা না করে উল্টা নানা অজুহাতে গ্রাহকদেরকে বিড়ম্বার মধ্যে ফেলেন।

উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাপুর গ্রামের রমজান আলী বলেন,রোববার দুপুর দুইটার দিকে আমাদের গ্রামের ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি আমরা বার বার এমজিএম সাহেবকে জানালেও তিনি কোন গুরুত্ব না দিয়ে নানা অফিসে ট্রান্সফরমার নেই এমন অজুহাতে আমাদের পুরো গ্রামকে অন্ধাকারের মধ্যে ফেলেন এবং পরে রাতে আমরা জিএমকে বিষয়টি জানালে সোমবার সকালে নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন করে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। এজিএম আমার মত এমন শত শত গ্রাহকের অসুবিধার ব্যাপারে কোন আমল না দিয়ে বরং নানা অজুহাতে তিনি গ্রাহকদেরকে হয়রানি করে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার বিক্ষুব্ধ গ্রাহক সাধারণ এজিএম’র বিরুদ্ধে মানবন্ধনের প্রস্ততি নিচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জীবননগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কয়েকজন কর্মচারী ও ইলেকট্রিসিয়ান  জানান, এজিএম-এর অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করলে তাকে নানা ভাবে হয়রানির হুমকি দেয়া হয়। অনেক গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা যায়,বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নিতে গেলে নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও নতুন সংযোগ মিলে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে কৌশলে টাকা দিলেই খুব সহজেই মিলে যায় নতুন সংযোগ।

জীবননগর শহরের আনিসুর রহমান শিপলু বলেন,আমার বাসায় সোলার প্লান্ট লাইন পেতে আমি সব শর্ত মানার পরও আমাকে নানা অজুহাতে দেড় মাস পার করার পর সংযোগ পাওয়া যায়। জীবননগর জোনাল অফিসের ডিজিএম সাহেব ভাল। কিন্তু তার কোন কথা আমলে নেন না এজিএম হাফিজুল ইসলাম। এজিএম সব কিছুতেই মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দোহায় দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে থাকেন। পল্লী বিদ্যুতের মত সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার এমন আচরন কারো প্রত্যাশা নয়। 
জীবননগর বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নান মন্ডল বলেন,মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের জীবননগর জোনাল অফিসের এজিএম হাফিজুল ইসলাম গ্রাহকের কোন অভিযোগই আমলে নেন না। তার কাছে গ্রাহকেরা যেন মানুষ-ই,তার কথা বলতে কষ্ট হয়। মানুষের সাথে কথাই বলতে চান না। এমন পরিস্থিতিতে কি ভাবে তার থেকে সেবা পাওয়া সম্ভব? ভারপ্রাপ্ত এজিএম হাফিজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,প্রতাপপুর গ্রামে ট্রান্সফরমার নষ্ট হওয়ার বিষয়টি আমি রাতে জানতে পারি। অফিসের কোন ট্রান্সফরমার না থাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে সেখানে নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকারে যথারীতি নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়।

জীবননগর জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল মাজেদ বলেন,এজিএম হাফিজুল ইসলাম আসলে কম কথা বলেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক কোন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। তবে তিনি নিয়মের বাইরে কোন কাজ করতে চান না। তিনি  কাজও ভাল জানেন। তার বিরুদ্ধে গ্রাহক সাধারণ মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন কোন খবর আমার জানা নেই।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন