দেশবিরোধী প্রচারণায় অর্থযোগান: সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখালেন আদালত

দেশবিরোধী প্রচারণায় অর্থযোগান, পরামর্শদাতা ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।


বুধবার ঢাকার ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এ তাকে গ্রেপ্তার দেখান।
এদিন সকালে তাকে আদালতে হাজির করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামুন।
আবেদনে বলা হয়েছে, সেলিম প্রধান দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে।
সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। এ ছাড়া তার সেলিম প্রধান ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ যোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে আসামিকে পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে গ্রহণের জন্য আবেদন করা হতে পারে। এই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সকাল ৭টায় গুলশান-১ এর ১৩৬নং রোডস্থ জব্বার টাওয়ারের পাশে রাস্তার উপর সেলিম প্রধানসহ অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জন ব্যক্তি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতারা সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়।
ওই সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানারে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পাঁচকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বারিধারার নেক্সাস ক্যাফে প্লেস নামক একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। পরে গুলশান থানার উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
ওই মামলায় তিনি ঢাকার ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান।


দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- দেশবিরোধী প্রচারণা
- সেলিম প্রধান
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: