• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

মাতার হেবা দেয়া ফ্ল্যাট থেকে প্রতিবন্ধী জালালুর রশিদকে উচ্ছেদের অভিযোগ


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১৭ পিএম
মাতার হেবা দেয়া ফ্ল্যাট থেকে প্রতিবন্ধী জালালুর রশিদকে উচ্ছেদের অভিযোগ

শরীরিকভাবে প্রতিবন্ধী জালালুর রশীদ খান অভিযোগ করেছেন,তার মাতার হেবা দলিল অনুযায়ী প্রাপ্ত ফ্ল্যাটটি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন তার সহোদর ভাই হালিমুর রশীদ খান ও বোন সুরাইয়া চৌধুরী।

এছাড়াও ফ্ল্যাটটিতে বর্তমানে বসবাস করছেন এক বহিরাগত নারী, যিনি প্রভাবশালী পরিচয়ের আড়ালে ভাড়াটে কেডার বাহিনী নিয়ে ফ্ল্যাটটি দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ।

জালালুর রশীদ খান জানান, তার পিতা মৃত হারুন অর রশীদ খান একজন প্রাক্তন বিচারক ছিলেন। তার মাতা মৃত আনজুমান আরা রশীদ জীবিত অবস্থায় গুলশান-১ এর এসই(ই)-৩, রোড-১৩৭, ফ্ল্যাট নং ডি-১/এ হেবা দলিলের মাধ্যমে তাকে প্রদান করেন। রেজিস্ট্রিকৃত হেবা দলিল অনুযায়ী তিনি বহু বছর ধরে ওই ফ্ল্যাটের বৈধ মালিক হিসেবে বসবাস করছিলেন। তবে মায়ের মৃত্যুর পর থেকে সহোদর ভাই ও বোন তার ওই ফ্ল্যাটটি জোরপূর্বক দখলে নেন এবং জালালুর রশীদকে প্রবেশে বাধা দেন। ফ্ল্যাটটি সম্পর্কে জালালুর রশীদের ভাষ্য, “এটি সম্পূর্ণ আমার মালিকানাধীন ফ্ল্যাট। অন্য কেউ যদি এটি নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করে, তাহলে তারা প্রতারক ছাড়া কিছুই না।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমানে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন অদ্রিতা চৌধুরী নামের এক নারী, যিনি নিজেকে প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরীর ভাতিজি ও সায়ান চৌধুরী র্অণব ,মা ও চাচাত বোন এবং বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেন।

তবে জালালুর রশীদের দাবি, তাদের মধ্যে বহু আগেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। তবুও অদ্রিতা চৌধুরী রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

আরও উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে, ফ্ল্যাটটির মূল প্রবেশ পথে প্রায় ৩-৪ জনের একটি কেডার বাহিনী নিয়মিত পাহারা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় তিনি গুলশান থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ১৬৮১/২২) করেছেন। কিন্তু পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ তার।

জালালুর রশীদ খান বলেন, “আমি একজন প্রতিবন্ধী এবং একা। এই সুযোগটাকেই ওরা কাজে লাগিয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার হেবা দলিল বৈধভাবে রেজিস্ট্রি করা। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, দখলকারীদের উচ্ছেদ করে আমাকে আমার ফ্ল্যাটে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হোক।” এ বিষয়ে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বৈধভাবে রেজিস্টারকৃত হেবা দলিল একটি শক্তিশালী আইনি দলিল এবং দখলের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব। এখন অপেক্ষা, প্রশাসন কবে নাগাদ বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে জালালুর রশীদ খানের ন্যায়সঙ্গত দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন