শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান
.jpg.webp)
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভয়েস অব ঝিনাইগাতী’।


বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে স্বাক্ষরনামাসহ এ-সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর জমা দেওয়া হয়।
গণস্বাক্ষর সংগ্রহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, শেরপুরের বিশিষ্ট নাগরিক ও শেরপুর ডায়াবেটিস হাসপাতালের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবাদুল কাদির, জনউদ্যোগের শেরপুর জেলা আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটির সদস্য সচিব ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিম বাবুল, অর্থ সম্পাদক দেবদাস চন্দ্র বাবু, ভয়েস অব ঝিনাইগাতীর প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম প্রমুখ।
এর আগে সকাল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ঝিনাইগাতী সদর বাজারের প্রধান সড়কের পাশে গণস্বাক্ষর নেওয়া হয়। নদীর আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় চার হাজার মানুষ এতে স্বাক্ষর করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও নদীর তীব্র স্রোতের কারণে দুই পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। এতে শত শত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত এক দশকে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন, সহস্রাধিক মাছ ও মুরগির খামার ভেসে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার একর আবাদি জমি। ঝিনাইগাতী সদর বাজার ও আশপাশের অন্তত শতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর ক্ষতির মুখে পড়ে।
আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির বলেন, “প্রতি বর্ষায় মহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে দুই পাড়ের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। এতে ফসল, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই এ নদীর দুই পাড়ে স্থায়ী ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ ঝিনাইগাতীবাসীর প্রাণের দাবি।”


এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “মহারশি নদী এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খৈলকুড়া এলাকায় মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে নয়টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়, ভেসে যায় ৫০টিরও বেশি মাছের ঘের ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় শত শত একর ফসলি জমি।
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- শেরপুর
- স্মারকলিপি প্রদান
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: