সেই ভিক্ষুকের কাছে মিলল আরও এক বস্তা টাকা!
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাছুমপুর নতুনপাড়ায় কওমি জুট মিলের এক কোণের বারান্দায় বসবাস করেন সালেয়া বেগম (৬৫)। অনেকে তাকে ‘সালে পাগল’ নামেই চিনেন। প্রতিদিন সকালবেলা ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে বের হন, বিকেলে ফিরে আসেন নীরবে। সম্প্রতি তার ভিক্ষা করে জমানো টাকা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তার কাছে দুই বস্তা টাকা পাওয়ার পর আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে তার কাছ থেকে স্থানীয়রা আরও এক বস্তা টাকা উদ্ধার করেছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত গুনে দেখা যায়, এই বস্তাটিতে রয়েছে ৪৭ হাজার ৮২৬ টাকা।
এর আগে ৯ অক্টোবর সকালে সালেয়া বেগমের দুই বস্তা থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ টাকা পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে তার তিন বস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯ টাকা।
সালেয়া বেগমের একমাত্র মেয়ে শাপলা খাতুন বলেন,‘মা একা থাকতে চাইতেন। আমরা জানতামই না, তিনি এত টাকা জমিয়েছেন। এখন মা অসুস্থ। এই টাকা দিয়ে তার চিকিৎসা করানো হবে।’
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহরিয়ার শিপু বলেন ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আরও একটি বস্তা উদ্ধার করে ৪৭ হাজার ৮২৬ টাকার মতো পাওয়া গেছে। টাকাগুলো সালেয়া বেগমের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। যদি আল্লাহ তাকে নিয়ে যান, তবে অবশিষ্ট টাকা তার মেয়েকে দেওয়া হবে। একজন ভিক্ষুকের কাছেও এত টাকা থাকতে পারে এটা সত্যিই বিস্ময়কর।
উল্লেখ্য, স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। এরপর একাই জীবন চালিয়ে যাচ্ছিলেন সালেয়া বেগম। দীর্ঘ চার দশক ধরে ভিক্ষা করে নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন। বারান্দার সেই ছোট জায়গাটিই ছিল তার আশ্রয়স্থল। সেখানেই লুকানো ছিল সঞ্চিত তিন বস্তা টাকা।
দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- ভিক্ষুক
- বস্তা টাকা
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
আপনার মতামত লিখুন: