বরগুনায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড

বরগুনার আমতলীতে আলোচিত মাদ্রাসাপড়ুয়া কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হৃদয় খানকে (২০) মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামি জাহিদুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।


বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ রায় ঘোষণা করেন বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রনজু আরা শিপু।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হৃদয় বরগুনার আমতলী উপজেলার পূজাখোলা ইসলামপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বের হয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি তার বাবা নিখোঁজ সংক্রান্ত আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে মোবাইল ফোনে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় ওই কিশোরীকে আটকে ধর্ষণ করে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। একপর্যায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। আসামি হৃদয় খানের তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পাশের ঝোপজাড় থেকে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- বরগুনা
- ধর্ষণ
- হত্যা
- মামলা
- মৃত্যুদণ্ড
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: