• ঢাকা
  • বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Advertise your products here

  1. আর্ন্তজাতিক

১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিনকার্ড-নাগরিকত্ব দেওয়া বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০১:০০ পিএম
১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিনকার্ড-নাগরিকত্ব দেওয়া বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বের ১৯টি দেশের অভিবাসন সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান। এরফলে এসব দেশের নাগরিকরা আর যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাবেন না।

এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো এমন ১৯ দেশের নাগরিকদের ওপর, যারা এরই মধ্যে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন। এতে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় আরও কঠোর বিধিনিষেধ যোগ হলো—যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের অন্যতম মূল প্রতিশ্রুতি।

বুধবার প্রকাশিত স্মারকে যে ১৯টি দেশকে লক্ষ্য করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন—যাদের ওপর জুনে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ, এমনকি প্রায় সম্পূর্ণ প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছিল।

বাকি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা—যারা জুনে আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিল।

নতুন নীতিতে এসব দেশের নাগরিকদের সব আবেদন স্থগিত করা হয়েছে এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে প্রতিটি আবেদনকারীর ওপর সম্পূর্ণ পুনঃপর্যালোচনা চালাতে হবে। প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার বা পুনঃসাক্ষাৎকারও হতে পারে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন করা যায়।

স্মারকে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত কয়েকটি অপরাধের ঘটনাও এই সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছে।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক আফগান শরণার্থী। এরপর থেকেই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে শরণার্থী নেওয়া বন্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

গতকাল ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন। সেখানে সোমালিয়ার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি বিষেদাগার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি তাদের ‘আবর্জনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। 

এমনকি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী ও কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমরকেও আবর্জনা বলে মন্তব্য করছেন তিনি। ইলহান মার্কিন নাগরিক হলেও তার পূর্বপুরুষরা সোমালিয়ার বাসিন্দা।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন