আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাদীপক্ষের দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মোহনপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।


অনুসন্ধানে জানা যায় ৩ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার মোহনপুর বাজারের মধ্যে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের দোকান ঘর ভেঙ্গে মালামাল লোট করে নিয়ে যায় এর পরে এই জায়গাতে নতুন ঘর নির্মান করে ফজলুল হক সহ তার সাথে ছিল ফরহাদ, সাচ্ছু, নাজমুল, হৃদয়, রুমা,লুত্ফা,ময়না,আসমা,আমরিনা গংরা।
মুদি মালের দোকান ছিল এই জায়গাতে। আর এই দো কান কবির হোসেন ভাড়া চালাতো। সে প্রায় দশ বছর ধরে এই দোকান ঘর ভাড়া চালায় খেলু মিয়া গংদের কাছ থেকে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে খেলু মিয়া বলে, আমাদের মালিকানাধীন জায়গাতে দোকান ঘর করে আমরা ভাড়া দিয়ে রাখছি।আর এই জায়গার উপরে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেওয়ানী মামলা নং ৬০/২০২৫ ইং এর আদেশ নং ০৬ তাং- ১৭/০৫/২০২৫ ইং এর কোর্টের অস্হায়ী নিষেধাজ্ঞা আছে ও দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান।
কিন্তু অভিযোগ কারী গণ কোর্টের আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে আমাদের মালিকানা জায়গায় দোকান ঘর ভেঙ্গে মালামাল লুট করে নতুন গড় নির্মাণ করেছে। আমরা এই খবর শুনে আমাদের জায়গার মধ্যে আসলে এই ভূমি দস্যুরা আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় যে জানে বাঁচতে চাইলে এইখান থেকে চলে যা, আরো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। খেলু মিয়া বলে আমাদের মোহনপুর মৌজার জেএল নং ৩৮ বিএস ৬১৮ নং দাগে আমাদের ৭ শতাংশ জায়গা আছে। আমরা নিজ নামে জমা খারিজ করে সরকারি খাজনাদি পরিশোধ করে আসতেছি।
এই ভূমি দস্যুরা অনেক দিন ধরে আমাদের মালিকানায় জায়গা অবৈধভাবে ভোগ দখল করার চেষ্টা করে আসছিল, হটাৎ গত বুধবার রাতে আমাদের দোকান ঘর ভেঙ্গে নতুন করে ঘর নির্মাণ করে। দোকানের মধ্যে যে সকল মালামাল জিনিসপত্র ছিল সব লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় যোগাযোগ করি পরে পুলিশ ঘটনার স্থানে আসে এবং আমাদের দোকান ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর নির্মাণ করেছে এই গুলো দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দেন । এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্হায়ী ওয়ার্ড মেম্বার অহিদ মিয়া বলেন আমরা সকালে জানতে পারি যে খেলু মিয়ার দোকান ঘর ভাঙচুর করে নতুন ঘর নির্মান করেছে,আমি সহ আমার ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান সহ এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই পুরাতন দোকানঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর নির্মান করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার কয়েকজন পুলিশ ও ছিল।
পরে আমরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার এ এস আই আশরাফ বলেন আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্হানে যায় ও ঘটনার সত্যতা পায়, উভয় পক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করি যে শান্তিপূর্ণভাবে উভয় পক্ষ আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ যেন না করে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- আদালত
- ভাঙচুর ও লুটপাট
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: