• ঢাকা
  • রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

ঢাকার নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে : রিজওয়ানা


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৩৬ পিএম
ঢাকার নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে : রিজওয়ানা

ঢাকা শহরের চারটি নদীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা শহরের চারটি নদী নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে যে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করেছি, আশা করি তা ডিসেম্বরে পাস হয়ে যাবে।’

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদী পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। ‘নদী ও পরিবেশকর্মীদের মিলনমেলা’ নামের একটি আয়োজনে অংশ নিয়ে তিনি ওই নদী ও আশপাশের ধাঁধার চর পরিদর্শন করেন।

 নদীদূষণ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি। পলিথিনের বিরুদ্ধেও নিয়মিত অভিযান চলছে। এখন তো সুপারমার্কেটে আপনি আর পলিথিন পাবেন না। একজন একজন করে নদীদূষণকারী ধরবেন, নাকি যারা নদীদূষণ করে, তাদের সেন্ট্রাল ইটিপির আওতায় আনবেন, নাকি তাদের কয়েকজনকে বন্ধ করে দেবেন।

এই সব কটা অপশন নিয়েই কাজ করতে হবে। চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যতটুকু করা যায়, ততটুকু করে যাচ্ছি।’

নদীদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নেওয়া একটি প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের চারটি নদী নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে যে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করেছি, আশা করি তা ডিসেম্বরে পাস হয়ে যাবে। এই প্রকল্পে ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্টের জন্য আলাদা বাজেট রাখা হয়েছে; জনবল ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে, যাতে তারা নজরদারি বাড়াতে পারে।

পরিবেশদূষণ রোধে সবার সম্মিলিত দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নজরদারির পাশাপাশি শিল্প মালিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। কেবল শিল্পদূষণ বললে হবে না। আমরা এখনো পয়ঃবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারিনি। এসব ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে কাজ করলে তবেই নদীগুলোকে বাঁচানো সম্ভব।’

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর অঞ্চলে শিল্পবর্জ্যের কারণে ভয়াবহভাবে দূষিত হচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদী। এ দূষণ শুধু নদীর প্রাণহানি ঘটাচ্ছে না বরং আশপাশের পরিবেশের ভারসাম্যকেও মারাত্মকভাবে বিপন্ন করছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। নদী রক্ষায় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও পরিবেশকর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সম্মিলিত উদ্যোগে সম্ভব শীতলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত করে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা।’

পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশবাদীদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘পরিবেশবাদীরা যেসব কাজ করছেন, তারা আমাকে সাহায্য করছেন। আমিও আমার বর্তমান দায়িত্ব থেকে তাদের যেভাবে পারি সাহায্য করে যাব। আমরা একজন আরেকজনের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইডেন দূতাবাসের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান, ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেস বেক্সস্ট্রম; পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম; বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন; বাপা’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনির হোসেন প্রমুখ।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন