বরগুনায় রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করেও কাজ না করার অভিযোগ

দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০:২০ পিএম

বরগুনার সদর উপজেলার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছোট বালিয়াতলি শাহ আলম ফকির বাড়ি হতে চান মিয়া হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদ পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করা হলেও রাস্তার কাজ করানো হয়নি। গত ২৩- ২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় উপজেলা পরিষদ ভিত্তিক তৃতীয় কিস্তির প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে রাস্তাটির জন্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয় ।

রাস্তার কাজ পান ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোসাঃ হালিমা খাতুন।বরাদ্দকৃত অর্থ বছর শেষ হয়ে গেছে । বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে কিন্তু রাস্তার কাজ করানো হয়নি। উক্ত রাস্তা দিয়ে শতাধিক পরিবারের লোকজন চলাফেরা করে। রাস্তাটির কাজ না হওয়াতে গ্রামবাসীর অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গ্রামের একাধিক লোক বলেছেন, গত ২৩-২৪ অর্থবছরে রাস্তাটি জন্য বরাদ্দ হলেও মহিলা মেম্বার হালিমা খাতুন কাজ করায়নি। পূর্বে যে রকমের রাস্তা ছিল সেই রাস্তার উপরে দুইটি গর্ত ভরাট দিয়েছে। সেখানে মাএ ১৫০০০ টাকা বিল দিয়েছে বেকুর ড্রাইভারকে। ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ভিতরে শুধুমাত্র ১৫০০০ টাকার কাজ করানো হয়েছে।

এখন আমরা গ্রামবাসী মহিলা মেম্বারের এর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং বলে সময় হলেই রাস্তার কাজ শেষ করবে। আমরা গ্রামবাসীরা একাধিক বার তার সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু সে রাস্তাটির কাজ করাচ্ছেন না।কাজের সিপিসি মহিলা মেম্বার হলেও সম্পূর্ণ তদারকি করে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম। তার স্বামী আওয়ামী লীগ করেন।

আমাদের সাথে ক্ষমতার দাপট দেখায় । ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে কিন্তু কাজ করানো হয়নি। প্রশাসনের কাছে আমাদের গ্রামবাসীর জোর দাবি যাতে রাস্তার কাজটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়।

৯ নং এম বালিতলী ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হালিমা খাতুন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয় তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। ৯ নং এম বালিয়েতলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হননি। বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াছিন আরাফাত রানা বলেন, বিষয়টি আমি অতি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখব। সঠিক প্রমাণ পেলে অবশ্যই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।