• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহালের দাবীতে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:০৪ পিএম
বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহালের দাবীতে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন

বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবীতে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে জেলার ৯টি উপজেলার শতাধিক স্থানে সড়কে গাছ, বেঞ্চ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে হরতাল পালন করে তারা। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ ১৮টি রুটসহ দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সকাল ৯ টার দিকে আদালত চত্বর ও জেলা নির্বাচন অফিসে তালা ঝুলিয়ে  দেয় বাগেরহাটে ৪টি আসন রক্ষার দাবিতে হরতালে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা।

জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখা যায়, সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে চারটি আসন বহলের দাবিতে তাদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। তবে প্রশাসনের ব্যবহারিত গাড়ি, সংবাদপত্র ও সংবাদ কর্মীদের বহনকারী গাড়ি, এম্বুলেন্স এবং রোগীদের বহনকারী বিভিন্ন যানবাহন, পরীক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দেয় হরতাল সমর্থকেরা। ভোগান্তির শিকার কিছু যাত্রীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আজ বাগেরহাটে হরতাল আমরা জানতাম না। প্রচন্ড গরমে রোদে পুড়ে ঘেমে গন্তব্যের দিকে মালপত্র নিয়ে হাঁটছেন তারা। অনেকে আবার বাস স্ট্যান্ড ও যাত্রী ছাউনীতে বসে অপেক্ষা করছে বাসের জন্য।
গ্রামের সড়ক গুলো দখলে ছিল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির। খেয়া ও ফেরি পারাপার বন্ধ ছিল হরতালের সমর্থনে। শাকসবজির বাজারে লেনদেন হয়েছে আগের মতই। হরতালে সবজির বাজারে কোন প্রভাব পড়েনি। জেলার নয়টি উপজেলা তিনটি পৌরসভা ও ৭২ টি ইউনিয়নের সকল হাট বাজার ও স্ট্যান্ডে চারটি আসন বহালের দাবিতে সোচ্চার ছিল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ মিছিল এবং বুধবার ও বৃহস্পতিবার (১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর) জেলা জুড়ে একটানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালিত হবে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এনসিপি, ইসলামী ঐক্য জোটসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা।

বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শেখ মোঃ জাকির হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি আসন কর্তন করেছে। তাছাড়া পুনরায় যেভাবে আসন বিন্যাস করেছেন তা বাগেরহাটবাসী মেনে নেবে না। বাগেরহাটবাসীর দাবী অনতিবিলম্বে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখা হোক। দাবী না মানলে বিক্ষোভ হরতাল অবরোধ সহ আরো কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দাবীআদায় করা হবে।

বাগেরহাট জামায়াত ইসলামী আমীর মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, ‘বাগেরহাটের মানুষকে অবমূল্যায়ন করে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের যৌক্তিক দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি খসড়া প্রস্তাবে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি রাখার প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আন্দোলন শুরু করে। জেলা নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু দাবীকে উপেক্ষা করে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন রাখা হয়।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন