মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদল নেতাকে পেটানোর অভিযোগ কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে

মাইকে ঘোষণা দিয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুনায়েদ হোসেন জুনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নওগাঁ সরকারি কলেজ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।


হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ প্রশাসন হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তালা খুলে দেন বিক্ষোভকারীরা।
শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, কলেজ প্রশাসন অযৌক্তিকভাবে ভর্তির ফ্রি বৃদ্ধি করেছে। অন্যান্য কলেজের চেয়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকা ফি বেশি নেওয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সে তুলনায় আমাদের কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়া হয় না।
ফি বৃদ্ধির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার কথা বললে কলেজের শিক্ষক এবং কর্মচারীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নওগাঁ সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, সকাল ৯টায় ক্লাস করার উদ্দেশে কলেজে এসেছিলাম। অধ্যক্ষ স্যারের রুমের সামনে দেখি বেশ গোলমাল হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে কলেজের মাইকে ঘোষণা শুনি স্ট্যাফদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, আপনারা সকলেই এগিয়ে আসেন।


কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমাদের স্যারেরা এবং কলেজের স্টাফরা মিলে একজন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট করতেছে। তারা স্ট্যাম্প ও বাঁশ দিয়ে তার শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাত করে এবং কলেজ থেকে তাকে বের করে দেয়। এমন ঘটনার পর কলেজের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।
নওগাঁ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুনায়েদ হোসেন বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া, জয়পুরহাটসহ আমাদের জেলায় যে কলেজগুলো রয়েছে, তার তুলনায় আমাদের কলেজে এক থেকে দেড় হাজার টাকা ফি বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমি কলেজ প্রশাসনকে ফি কমানোর অনুরোধ করি, তারা বিষয়টা বিবেচনায় নিতে চায়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বলি। এতে কলেজের স্টাফ এবং স্যারেরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমার ওপর স্ট্যাম্প, বাঁশ এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং অধ্যক্ষসহ সকল অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হক বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়ার রুমে আমাদের মূল্যবান যন্ত্রপাতি ছিল। সে উত্তেজনার বসে সেগুলোর ওপর হামলা করতে পারে দেখে আমরা তাকে প্রথমে সেখান থেকে চলে যেতে বলি। সে কোনোভাবেই আমাদের কথা শুনছিল না। তখন তাকে কর্মচারীরা যেভাবেই হোক বের করে দিয়েছে। আমি শুনেছি কর্মচারীদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


দৈনিক পুনরুত্থান /
- বিষয়:
- ছাত্রদল নেতা
- কলেজ প্রশাসন
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: