• ঢাকা
  • বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

মুনিয়া হত্যা মামলা থেকে আফ্রিদিকে বাঁচিয়েছিলেন পিএমও অফিসের কায়কাউস


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৩০ পিএম
মুনিয়া হত্যা মামলা থেকে আফ্রিদিকে বাঁচিয়েছিলেন পিএমও অফিসের কায়কাউস

মুনিয়া হত্যা মামলা থেকে বেঁচে গেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও আওয়ামী লীগের দোসর তৌহিদ আফ্রিদি। তাকে এই মামলা থেকে বাঁচানোর পেছনে সবচেয়ে বড় হাত ছিল পিএমও আফিসের আহমদ কায়কাউসের। যিনি শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ছিলেন।

সম্প্রতি অনলাইন পোর্টাল বাংলা এডিশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাহমিদ সামিনের সঙ্গে তৌহিদ আফ্রিদি নিজেই বলেছিলেন, ‘মুনিয়ার ঘটনায় তৌহিদ আফ্রিদি রেহাই পেয়ে গেছেন পিএম অফিসের জন্য।’

২০২১ সালে মুনিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকলেও সামনে আসেনি তৌহিদ আফ্রিদির নাম। এমনকি তার নাম ছিল না সন্দেহভাজনদের তালিকাতেও, করা হয়নি কোনো জিজ্ঞাসাবাদ। এরই মধ্যে মুনিয়ার সঙ্গে তৌহিদ আফ্রিদির একাধিক ফোনকলের রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে।

এসব ফোনালাপ থেকে মুনিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের তথ্য মিলেছে।

বাংলা এডিশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মুনিয়া হত্যাকাণ্ড থেকে আফ্রিদির নাম হারিয়ে যায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের দাপটে। পিএম অফিসের প্রভাব খাটিয়ে আফ্রিদিকে বাঁচিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাকে শুধু বাঁচিয়েই দেননি, কায়কাউস করেছিলেন ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্র।

তার সঙ্গে ছিল এক সিন্ডিকেট।

তার এই সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সরাসরি জড়িত ছিলেন সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আফ্রিদিকে খুনের মামলা থেকে বাঁচানো ও শিল্পপতিকে ফাঁসিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার বাণিজ্যে নেমেছিল এই সিন্ডিকেট।

বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে মুনিয়া হত্যা মামলা দায়ের ও পরবর্তী ১৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে আদালতের নির্দেশও আসে সে সময়। এমনকি তদন্তের আগেই দেশের এক শিল্পপতিকে আসামিও ঘোষণা করে ফেলা হয়।

আইনের এত দ্রুত বাস্তবায়ন দেখে বিস্মিত হয়েছিল আইন অঙ্গনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও। কারণ কায়কাউস ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা চেয়েছিলেন এই মৃত্যুকে পুঁজি করে বড় বাণিজ্য করে নিতে।

লক্ষ কোটি টাকা দুর্নীতি করা কায়কাউসের কমান্ডে আফ্রিদি জুলাই আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকায় মাঠে নেমেছিলেন। উত্তাল সময়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক কনটেন্ট বানিয়ে প্রচার করেন তৌহিদ আফ্রিদি। এসবের মূল লক্ষ্য ছিল হাসিনার হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দেওয়া। আর এসব আফ্রিদি করেছেন কায়কাউসের অর্থ ও পরামর্শে।

লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী কায়কাউসকে আফ্রিদির মতো আইনের আওয়তায় নেওয়া উচিত বলে মনে করেন আইনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এতে মুনিয়া হত্যার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। উদঘাটন হবে এই ব্ল্যাকমেইল সিন্ডিকেটের বহু গুপ্ত অপরাধের কথা।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন