শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা: দুই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মানবব

পটুয়াখালীর শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষক হারুন আর রশিদ ও সহকারী শিক্ষক অমল চন্দ্র সাহার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। রবিবার বেলা এগারোটায় বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের
প্রি-টেস্ট পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে পরিক্ষার ফি না দিতে পারায় ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না আক্তারকে প্রধান শিক্ষক হারুন আর রশিদ ও সহকারী শিক্ষক অমল চন্দ্র সাহা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। যার কারনে অপমান সহ্য করতে না পেরে শিক্ষার্থী তামান্না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় ক্লাস বর্জনের হুশিয়ারি দেন তারা।


শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন প্রি-টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন সময় ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসাঃ তামান্না আক্তার কে প্রধান শিক্ষক, কাজী হারুন অর রশিদ ও সহকারী শিক্ষক, অমল চন্দ্র সাহা, পরীক্ষার ফি না দেওয়ার কারণে পরীক্ষার হল থেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বের করে দেয় এবং তাকে বলা হয় তোর মতন ক্ষয়রাতি জারস সন্তান পরীক্ষা দেওয়া লাগবে না বাসায় গিয়ে গলায় দড়ি দে এবং সে অপমান সয্য না করতে পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং বর্তমানে বরিশাল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই বিষয়ে স্কুলের সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান
বলেন আমি কোন অভিযোগ পাইনি কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী,অভিভাবকবৃন্দ ও সাবেক শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কিছু যোক্তিক দাবি তুলে ধরে
দাবিসমূহঃ
১। প্রধান শিক্ষক কাজী হারুর অর রশিদ এবং সহকারী শিক্ষক অমল চন্দ্র সাহা অনতীবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
২। কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না।
৩। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
৪। পরিচালনা কমিটিতে যোগ্য ও দায়িত্বশীল ব্যাক্তিকে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে, যারা নিয়মিত খোজখরব রাখবেন।
৫। বিদ্যালয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ফ্রীতে পাঠদান করার সুযোগ দিতে হবে।
৬। বিদ্যালয়ের ল্যাবে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে।
৭। এসএসসি শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও ক্যারিয়ার নির্দেশনা বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করতে হবে, এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করতে হবে।
৮। ক্লাস রুমে কোন শিক্ষক ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: