স্কুলের দোকান ভাড়া পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠান, অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের নেকবক্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোকানঘর নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র সহকারী শিক্ষক নুর আজম চৌধুরী যাদুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে—বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দোকানঘর জবরদখল করে ভাড়া আত্মসাৎ করছেন তিনি।


অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম গত ২২ আগস্ট উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের দানকৃত জমি ও অর্পিত সম্পত্তির ওপর নির্মিত পাঁচটি দোকানঘর বহুদিন ধরে বিদ্যালয়ের আয়ের উৎস ছিল। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর শিক্ষক নুর আজম চৌধুরী যাদু দোকানগুলো দখল করে ভাড়াটিয়াদের সাথে গোপনে চুক্তি করেন এবং দোকানের ভাড়া তার পরিবারের নামে তোলা শুরু হয়। এর ফলে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যালয় কোনো ভাড়া পাচ্ছে না।
অধ্যক্ষ বলেন, “আমি বিষয়টি তদারকি করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই প্রশাসন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা রাখি।”
অভিযুক্ত শিক্ষক নুর আজম চৌধুরী যাদু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদের পরিবার থেকেই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় জমি দেওয়া হয়েছিল। এতদিন দখল নিতে পারিনি, এখন আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ফেরত নিয়েছি। দোকান থেকে ভাড়া তুলে মাদ্রাসার কাজে ব্যবহার করছি।” তবে তিনি যে কাগজপত্র দেখিয়েছেন, তাতে দোকানঘরগুলো তাদের পারিবারিক সম্পত্তি প্রমাণিত হয়নি।
এডহক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কামারুজ্জামান জানান, “আমি নতুন সভাপতি। বিষয়টি আমার কানে এসেছে। তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ উজ-জ্জামান সরকার বলেন, “একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খুব শিগগির বিদ্যালয় পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন, “আমি অবগত আছি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: