২০ বছরের দণ্ডিত আসামি ভিন্ন পরিচয়ে ২৩ বছর, ঢাকায় শিক্ষকতায়
-updte-6895f4e434cbb.jpg.webp)
নোয়াখালীর হাতিয়ায় একটি জিআর মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিনকে পলাতক থাকার দীর্ঘ ২৩ বছর পর অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


আদালতের রায় থেকে বাঁচতে তিনি দীর্ঘদিন নিজের আসল নাম ও ঠিকানা গোপন করে ভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। রাজধানীর একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার একটি হোটেলে গোপন অভিযানে হাতিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরদিন শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া জসিম উদ্দিন হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শুল্যকিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ছায়েদুল হকের ছেলে।
হাতিয়া থানার এসআই মিনহাজুল আবেদিন জানান, ১৯৯১ সালে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি জিআর মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০০২ সালে আদালত তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে তিনি গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে ‘গিয়াস উদ্দিন’ নামে পরিচয় দিয়ে বসবাস করতে থাকেন।
পলাতক অবস্থায় তিনি রাজধানীর এএম উচ্চ বিদ্যালয়ে গত পাঁচ বছর ধরে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। গোপন সূত্রের তথ্য ও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তার প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ফার্মগেটে অভিযান চালায় এবং তাকে আটক করে।


হাতিয়া থানার ওসি একে এম আজমল হুদা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনানুগভাবে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হাতিয়া থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান ও ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারসহ নিয়মিত অভিযান চলবে।
দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: