বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ করবে ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশ ইতিহাসের ভয়াবহ সংকটকাল অতিক্রম করছে, সম্মিলিতভাবে সরকারের এই নৃশংসতা রুখে দিতে হবে।
কোটা সংস্কারর দাবিতে আন্দোলনরত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনীর হামলা এবং গুলি করে নিরীহ ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে বিক্ষোভসহ দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে আগামীকাল (১৮ জুলাই) ঢাকায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিকেল ৩টায় এবং সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন, এবং শুক্রবার (১৯ জুলাই) সারাদেশের সব মসজিদে মসজিদে দোয়া এবং মিছিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে পুরানা পল্টন আইএবি মিলনায়তনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পীর সাহেব চরমোনাইর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিযাম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা মকবুল হোসাইন, হাফেজ মাওলানা ফজলুল করীম মারূফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আব্দুর রহমান, জিএম রুহুল আমিন, ডা. দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, যুবনেতা ইলয়াস হাসান, ছাত্রনেতা ইউসুফ মানসুর, মুনতাছির আহমদ।
সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, বর্তমানে ভয়াবহ ও সংকটপূর্ণ সময় বিরাজ করছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চরম উসকানিমূলক। ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মত দেশের নির্বাহী প্রধানের জায়গায় থেকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার দায়িত্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার পরিবর্তে উল্টো উত্তেজিত করে তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই ছাত্রলীগ সারাদেশে লাঠিয়ালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত ও খুন করে এবং ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করে। যা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের দায়ভার সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না।
চরমোনাই পীর বলেন, সরকার জনগণের দেওয়া ভ্যাট-টেক্স নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে বিদেশে পাচার করছে। কোটার নামে নিজেদের দলীয় লোকজনদের চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে। এ জন্য মেধাবীদের দূরে রাখছে। তিনি আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে দেশবাসীকে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: