• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

ভিডব্লিউবি উপকারভোগী নির্বাচনে চেয়ারম্যান সচিবের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:১৭ পিএম
ভিডব্লিউবি উপকারভোগী  নির্বাচনে চেয়ারম্যান সচিবের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

বরগুনা সদর উপজেলার ২ নং গৌরীচন্না ইউনিয়নে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) উপকারভোগী নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ দিয়ে জানা যায় বরগুনা সদর উপজেলার ২ নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের আওতায় সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারি প্রজ্ঞাপনে ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে বাছাইয়ের পরে ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক বাছাই সম্পন্ন করে সকল সদস্যের স্বাক্ষরকৃত তালিকা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দাখিল করার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি। প্রজ্ঞাপন অনুসারে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি থাকবেন অথচ তিনজন সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যই জানেন না যে, বাছাইয়ের জন্য ওয়ার্ডে একটি কমিটি আছে এবং এই কমিটির সভাপতি তারা।

প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব সরকারি কোন বিধিমালার তোয়াক্কা না করেই অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাদের নিজস্ব লোকজন দিয়ে তালিকা দাখিল করেছেন। ইউনিয়নের অধিকাংশ ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব তাদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক নাম জমা দিতে বলেছেন তারা সেই তালিকা করে জমা দিয়েছেন। তবে তাদের সুপারিশকৃত অনেকেরই নাম নেই চেয়ারম্যান-সচিবের প্রস্তুতকৃত তালিকায়। ইউনিয়ন বাছাই কমিটিতে তারা সদস্য এবং তালিকায় তাদের স্বাক্ষর লাগবে এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। তারা কোন তালিকায় স্বাক্ষর করেননি। সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যগণ বলেন, ওয়ার্ড কমিটির কথা আমাদের কেউ বলেননি। আমাদের নিজস্ব তালিকা ব্যতীত অন্য কোন তালিকায় স্বাক্ষর করিনি। শুধু একটি রেজুলেশনে উপস্থিতির স্বাক্ষর করেছি।

ইউনিয়ন বাছাই কমিটির সদস্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমি বাছাইয়ে উপস্থিত ছিলাম তবে কোন তালিকায় আমার স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। ইউনিয়ন বাছাই কমিটির সদস্য, সহকারী অধ্যাপক মোঃ জহিরুল হক বলেন, আমরা বাছাই কমিটির সদস্যগণ মিলে ৩ দিন সকাল- সন্ধ্যা কষ্ট করে উপকারভোগী নির্বাচন করেছি। কথা ছিল পরবর্তীতে সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। কিন্তু সেটা না করে প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব অসৎ উদ্দেশ্যে তাদের নির্বাচিত লোকজন দিয়ে তালিকা করে জমা দিয়েছেন। তারা যদি তাদের মতই করবে তাহলে আমাদের খাটাল কেন? পরিষদে বসে বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানিয়েছি কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। গৌরীচন্না ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোঃ ওমর ফারুক বলেন, বাছাইয়ের সময় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিল তালিকায় তাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। গৌরীচন্না ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ হতে কোন স্বাক্ষরিত তালিকা জমা দেই নাই। উপজেলায় বসে ইউএনও স্যার আমার স্বাক্ষর নিয়েছে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, ওয়ার্ড কমিটি যাচাই-বাছাই করে ইউনিয়ন কমিটির কাছে দিবে, ইউনিয়ন কমিটি আমাদের কাছে দিবে এটাই নিয়ম। এখানে এই নিয়ম মানা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সরকারি কাজ কি নিয়ম না মেনে করা যায়? আপনার কাছে ইউনিয়ন কমিটির স্বাক্ষরিত তালিকা আছে কিনা? এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোন কেটে দেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরগুনা এর উপপরিচালক রুপ কুমার পাল বলেন, ভিডাব্লিউবির বিষয়টা ইউএনও স্যার নিজে দেখেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরগুনা সদর মো: ইয়াসিন আরাফাত রানা এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন