• ঢাকা
  • শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

Advertise your products here

  1. আইন ও আদালত

মতিউর পরিবারের আরও ১৩৭ শতাংশ জমি, ১৯ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩৫ পিএম
মতিউর পরিবারের আরও ১৩৭ শতাংশ জমি, ১৯ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের ১৩৭ শতাংশ জমি ও ১৯টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। এসবের মধ্যে তিন কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকার ৯ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

মতিউর পরিবারের বিরুদ্ধে ৩য় দফায় আদালতের দেওয়া এই জব্দাদেশে স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, গাজীপুরের টঙ্গীতে মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী ও তার ভাই এম এ কাইয়্যুম হাওলাদারের নামে ১৩৭.২৮ শতাংশ জমি তার উপরিস্থিত স্থাপনা। এছাড়াও তার ছেলে আহমেদ তোফিকুর রহমান অর্নবের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিনটি কার পার্কিংসহ ৮ হাজার ৭০ স্কয়ার ফিট স্পেস। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মতিউর পরিবারের ১৯টি কোম্পানির তিন কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের পক্ষে এই আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নিজ নামে বা অন্যান্য ব্যক্তির নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন যা করতে পারলে অত্র অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।

এজন্য অত্র অনুসন্ধান শেষে মামলা রুজু ও মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নিম্নবর্ণিত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

দৈনিক পুনরুত্থান / নিজস্ব প্রতিবেদক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন