• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

Advertise your products here

  1. আর্ন্তজাতিক

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ট্রাম্পের ভাষণে বাধা, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবি


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৪৯ পিএম
ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ট্রাম্পের ভাষণে বাধা, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবি

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের সময় হট্টগোল করেছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তিনি কিছুক্ষণের জন্য ভাষণ থামাতে বাধ্য হন। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় এক সদস্য ট্রাম্পের ভাষণ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। ট্রাম্পের ভাষণের মাঝে তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে একটি কাগজ তুলে ধরেন। সেখানে লেখা ছিল, ‌‌‘‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন।’’

পরে নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা পার্লামেন্টে সৃষ্ট হট্টগোল থামানোর জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় প্রতিবাদ জানানো সংসদ সদস্যকে দ্রুত পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়।

স্পিকার ওহানাকে বামপন্থী রাজনীতিক ওফার কাসিফের নাম উচ্চারণ করতে শোনা গেলেও, ঠিক কাকে বের করে দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় গণমাধ্যম বলেছে, সম্ভবত দুজন সংসদ সদস্যকে বাইরে নেওয়া হয়েছে।

এরপর ট্রাম্প হাস্যরস করে বলেন, ওটা ছিল খুবই কার্যকর ব্যবস্থা। এরপর পুনরায় বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোর।’’

তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন অসাধারণ সাহসী মানুষ। ট্রাম্পের এমন প্রশংসার সময় সংসদ সদস্যদের অনেকে নেতানিয়াহুর ডাকনাম ‘‘বিবি’’ বলে স্লোগান দেন।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরে ভূমিকা রাখায় আরব বিশ্বের দেশগুলোকেও ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, এটি এক অবিশ্বাস্য সাফল্য। তারা একসঙ্গে কাজ করেছে।

ট্রাম্প বলেন, এখন এটি হবে ইসরায়েলের স্বর্ণযুগ। একই সঙ্গে পুরো অঞ্চলেরও স্বর্ণযুগ। এরপর ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কথা বলেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমরা আজ এক গভীর আনন্দ ও আকাশচুম্বী প্রত্যাশার দিনে একত্রিত হয়েছি।

‘‘দীর্ঘ দুই বছরের অন্ধকার ও বন্দিদশার পর ২০ জন সাহসী জিম্মি তাদের পরিবারের ভালোবাসার মাঝে ফিরে এসেছেন। আরও ২৮ জন প্রিয়জন অবশেষে এই পবিত্র মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে ফিরে এসেছেন।’’

তিনি বলেন, বন্দুক এখন থেমে গেছে। অঞ্চলটি এখন শান্তিতে রয়েছে এবং এই শান্তি যেন অনন্তকাল স্থায়ী হয়।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন