পানি নিতে আসা ১০ জনকে হত্যার পর ইসরায়েল বলল ‘ভুলে’ হয়েছে

পানি নিতে এসে দখলদার ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গাজায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। রোববারের (১৩ জুলাই) এ বর্বর হামলায় নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনই শিশু।


দখলদার ইসরায়েল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বলেছে, পানি নিতে আসা ওই মানুষের ওপর ‘ভুলে’ হামলা হয়েছে। দখলদাররা বলেছে, সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের এক সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে ড্রোন কয়েক মিটার দূরে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে। বিষয়টি এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
নিহত সবার মরদেহ নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে আহত আরও ১৬ জনকে নেওয়া হয়। যার মধ্যে সাতজনই শিশু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহত-আহত মানুষগুলো পানির খালি গ্যালন নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময় ড্রোন থেকে একটি ক্ষেপণাত্র ছোড়ে দখলদাররা। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার পর সেখানে শিশুদের রক্তাক্ত ও নিথর দেহ পড়ে আছে। ওই সময় সেখানে আতঙ্ক তৈরি হয়।
হতাহতদের গাধাচালিত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন দিয়ে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে নিয়ে যান। দখলদার ইসরায়েল গত দুইদিন ধরে গাজায় ব্যাপক আকাশ হামলা চালাচ্ছে। এরমধ্যেই পানি নিতে আসা সাধারণ মানুষের নির্মমতার ঘটনা ঘটালো তাদের সেনারা।
বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, গাজায় আজ রোববার নতুন করে আরও ৭৬ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।


দৈনিক পুনরুত্থান /
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আপনার মতামত লিখুন: