• ঢাকা
  • শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

Advertise your products here

  1. জাতীয়

বাবা এবং ছেলেকে বিএনপির শোকজ


দৈনিক পুনরুত্থান ; প্রকাশিত: রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:২৭ পিএম
বাবা এবং ছেলে'কে বিএনপির শোকজ

পটুয়াখালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আবু রায়হান মামলায় বানিজ্যের অভিযোগে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ এবং তার ছেলে সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকার চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এ্যাডভোকেট মশিউর রহমানকে শোকজ করেছে জেলা বিএনপি। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়।

জানাগেছে, ২০২৪ সালের ০৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামের কামাল আকনের ছেলে আবু রায়হান। ০৬ আগষ্ট আবু রায়হানের নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তুু দাফনের প্রায় ৮ মাস পর আবু রায়হানের পিতা কালাম হোসেন বাদী হয়ে তৎকালীন সৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, ঢাকা ১১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, শেখ সেলিসসহ প্রায় ২২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। যার ঢাকার বাড্ডা থানার মামলা নং -৩৫ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জসিতা ইসলাম এর ২১ নং কোর্টের জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকির মাধ্যমে ৬৮৪ স্মারক নং, সিআর মামলা নং ১৮৬/২০২৫। আনয়ন করলে আদালতের নির্দেশে ৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং ৩৫।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মামলার বাদী কামাল হোসেন এর একটি ভিডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। যাতে কালাম হোসেনকে বলতে শোনা যাচ্ছে পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মশিউর রহমান তাকে (মামলার বাদীকে) রায়হানের মৃত্যু সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য ঢাকায় যেতে বলেন। পরে কামাল হোসেন ঢাকায় গেলে মশিউর রহমান তার সাদা কাগজে অনেক গুলো স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষর দেয়ার কয়দিন পর জানতে পারেন মামলা হয়েছে। কিন্তুু কতজন বা কাকে কাকে মামলায় আসামী করা হয়েছে তার কিছুই জানেন না বাদী কামাল হোসেন এমনটিই দাবি করেন তিনি। বিষয়টি যখন এলাকায় জানাজানি হয় তখন পুরো পটুয়াখালী জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিজ স্বার্থ ও উদ্দেশ্য পূরনের লক্ষ্যেই নাকি মশিউর স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতাদের আসামি করেন। এছাড়া মামলায় আসামীদের নাম বাদ দেয়ার জন্যও নাকি মশিউর ও তার বাবা আবু হানিফ টাকা নেন, যার কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন বাদী কামাল হোসেন।

তবে শোকজের নোটিশের বিষয়ে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ এবং তার ছেলে সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মশিউর রহমানকে ফোন দিলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দৈনিক পুনরুত্থান /

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন